/> ফ্রিল্যান্সিং গাইড/ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার/ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং/ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ

Header Ads Widget

ফ্রিল্যান্সিং গাইড/ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার/ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং/ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ


খুব মনোজগ দিয়ে পড়লেই আশা করি আপনার সমাধান পাবেন ইনশাল্লাহ



ফ্রিল্যান্সিং কি জানতে চাই



পত্রিকা বা আউটসোর্সিং  সম্পর্কিত বিভিন্ন সেমিনার বা আউটসোর্সিং  নিয়ে  যেখানেই কোন কথা শুনি,বারবার শুধু একটা কথাই শুনি।সেটা হলো ভালোভাবে কাজ শিখার পরেই আউটসোর্সিং  এ আসতে হবে।ভালোভাবে কাজ না শিখে আউটসোর্সিংয়ের কোন মার্কেটপ্লেসে কোন একাউন্ট তৈরী করা যাবেনা,আউটসোসিং শুরু করা যাবেনা।কাজ শিখার উপর গুরুত্ব, এটা আমরা বারবার শুনি।এখন অনেক সময় বিষয়টি স্পষ্ট করা থাকেনা,কি কাজ শিখতে হবে।কোথা থেকে শুরু করতে হবে,কি কি শিখবো। এখানে  আলোচনা করা হবে কি শিখবেন এবং কিভাবে শিখবেন।প্রথমে আপনি মনস্থির করুন,যে কি ধরণের কাজ করবেন। মানে আউটসোর্সিংয়ে আপনি কি কাজ করবেন। আউটসোর্সিংয়ে তিন ধরণের কাজ বা চাকরি করা যায়।সেগুলো হলো-


ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য প্রয়োজন,সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,   ফ্রিল্যান্সিং কি জানতে চাই


১. অস্থায়ী চাকরি 


২.    স্থায়ী   চাকরি


৩.     স্বাধীন  কাজ



আপনি  চাইলে অস্থায়ীভাবে চাকরি করতে পারেন।কোন কোম্পানিতে স্থায়ীভাবে চাকরি করতে পারেন। আবার স্বাধীন 

ভাবেও কাজ করতে পারেন চাকরি ছাড়া।




ফ্রিল্যান্সিং শুরু






অস্থায়ী চাকরিগুলো হলো-বিভিন্ন ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাকরি,ওয়েব ডেভলপারের চাকরি।এই রকম  আরো কিছু  কাজ আছে যার জন‍্য অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন।মনে করেন,কোন একটা কোম্পানি একটা ক‍্যালেণ্ডার তৈরী করবে।বিদেশী কোন একটা কোম্পানি  একটা ক‍্যালেণ্ডার তৈরী করবে।এখন তারা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে এপয়েন্ট করবে।ক‍্যালেণ্ডার তৈরী করা শেষ,তো তার  কাজও শেষ।ভিজিটিং কার্ড তৈরী করবে,লোগো তৈরী করবে।সেগুলোর জন‍্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার এপয়েন্ট করবে।লোগো তৈরী শেষ,তো চাকরি ও শেষ।কোন একটা কোম্পানি  একটা ওয়েবসাইট তৈরী করাবে।একজন ওয়েব ডেভলপারকে এপয়েন্ট করলো।ওয়েবসাইট তৈরী শেষ,তাকে টাকা বুঝিয়ে দিল,সঙ্গে সঙ্গে তার চাকরিও শেষ।তো এরকম  আরো বেশকিছু কাজ আছে,যেগুলো শিখে অস্থায়ীভাবে চাকরি পাওয়া যায়।


ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য প্রয়োজন,সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,   ফ্রিল্যান্সিং কি জানতে চাই

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য প্রয়োজন, 

ফ্রিল্যান্সিং কি জানতে চাই


ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি




এরপর হলো স্থায়ী চাকরি।স্থায়ী চাকরি হলো সেই ধরণের চাকরি,যেই চাকরি কোম্পানি কখনো বন্ধ করতে পারেনা।বন্ধ করে দিলে কোম্পানির লস হবে।যেমন -একজন  একাউন্টেনের চাকরি।কোম্পানি কখনো তাকে বলতে পারেনা যে,তুমি আগামী দশ বছরের  একাউন্টের কাজটা করে দাও কয়দিনের ভেতরে,তারপর বিদায় হও।কারন কোম্পানি যতদিন থাকবে, কোম্পানির একাউন্টের হিসেবনিকাশও ততদিন থাকবে।তাই একাউন্টেনেরও চাকরি ততদিন থাকবে।এগুলো হচ্ছে নিত্যনৈমিত্তিক  কাজ,বাদ দেবার মত কোন বিষয় না।এই স্থায়ী চাকরিগুলো পাবার জন‍্য যা শিখতে হবে সেগুলো হলো-Seo,Facebook marketing,Youtube marketing,Google top ranking ইত্যাদি।Seo মানে সার্চ ইঞ্জিন  অপটিমাইজেশন। এটিকে আরো সহজভাবে বললে অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং।এই কাজগুলো শিখলে আপনি স্থায়ীভাবে কোন কোম্পানিতে চাকরি পাবেন। এখন স্থায়ী কেন?  এই কাজগুলো করে আসলে কি হয়?


অনলাইনে কি কাজ করা যায়


ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,


এই কাজগুলো করে কোন একটা কোম্পানিকে বিশ্বব‍্যাপী প্রচার করা যায় মানে অনলাইন মার্কেটিং।এখন কথা হচ্ছে, অনলাইন মার্কেটিং করতে হবে কেন?টিভিতে মানুষ বিজ্ঞাপন দেয়,পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় বিভিন্ন কোম্পানি। এই বিজ্ঞাপনগুলো শুধু  দেশের মানুষেরাই দেখতে পারে।দেশের বাইরের মানুষ দেখতে পায়না।এখন কোন একটা কোম্পানি যদি চাই যে,সে দেশের বাইরে এক্সপোর্ট করবে,তখন তাকে অনলাইন মার্কেটিংয়ে আসতে হবে।তাকে Seo করাতে হবে,ফেসবুক মার্কেটিং,ইউটিউব মার্কেটিং এগুলো করতে হবে।যে যদি ইউরোপ,আমেরিকাতে প্রচার করতে চায়।তাহলে কোন কোম্পানি  যদি ইউরোপ,আমেরিকাতে প্রচার করে এবং ঐ দেশের মানুষ  যদি সার্চ করে এই কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো দেখে,ঐখানকার যারা দোকানদার বা ব‍্যবসায়ী 

তারা যদি দেখে যে একহাজার টাকা দিয়ে  একটা জিনিস কিনে তারা সেটা তিনহাজার টাকায় বিক্রি করতে পারছে,

 তখন তারা আমদানি  করতে চাইবে।


এসইও করে আয়


ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,



তাহলে দেখা যাচ্ছে,কোন কোম্পানি  এক লাখ টাকা  খরচ করে টিভি,পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে তা শুধু  দেশের কাস্টমাররা  দেখবে,বিদেশী কাস্টমাররা দেখতে পাবেনা।কিন্তু এই এক লাখ টাকা  যদি কোম্পানি SEO করার কাজে খরচ করে তাহলে তার প্রোডাক্টগুলোর কথা দেশের মানুষসহ বিদেশী কাস্টমাররাও জানতে পারবে। মানে সেই বিজ্ঞাপনগুলো বিদেশী কাস্টমারের কাছেও পৌছাবে। ফলে বিদেশী মানুষের কাছে সেই কোম্পানি  প্রোডাক্টগুলো এক্সপোর্ট  করতে পারবে। তাই একটি কোম্পানি  যখন দেখবে যে,সে এক লাখ টাকা খরচ করে তিনলাখ টাকা  আয় করতে পারছে।তখন সে এই SEO এর কাজগুলো বন্ধ করবেনা।সে কয়েকজনকে এপয়েন্ট করবে কাজগুলো নিয়মিত করে দেবার জন‍্য। 





এই যে SEO এর কাজগুলোর মাধ্যমে  একটি লোকাল কোম্পানি গ্লোবাল কোম্পানিতে পরিনত হতে পারে।যে এক টাকার  বিক্রি করে,সে দশ টাকার প্রোডাক্ট বিক্রি করার ব‍্যবস্থা করতে পারবে।তাই বোঝায় যাচ্ছে,স্থায়ী কাজ করার জন‍্য SEO,Facebook marketing  এইসব কাজগুলোই শেখা দরকার। এই কাজগুলো  একবার  শুরু করলে কোম্পানি সেগুলো কখনো বন্ধ করে না।বন্ধ করলেই কোম্পানির লস।বরং এইসব কাজে কোম্পানি যতবেশি ইনভেস্ট করবে,ততোই লাভ বাড়বে।তাহলে আমরা স্থায়ী চাকরি সম্পর্কে বুঝলাম।

এবার আমরা বুঝবো স্বাধীন কাজ সম্পর্কে। স্বাধীন কাজ মানে আপনি কোন চাকরির জন‍্য কোথাও চেষ্টা করবেননা।আপনাকে কেউ চাকরি দিবেনা। আপনার চাকরির দরকার


নাই।আপনি যখন  ইচ্ছা কাজ শুরু করতে পারেন।চাইলে আজ থেকেই শুরু করতে পারেন। এর জন‍্য কারো সঙ্গে  কথাও বলতে হবেনা।আপনি চাইলে সরাসরি আজ থেকেই কাজ শুরু করতে পারেন। 



ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,




এর জন‍্য আপনাকে  শিখতে হবে এফিলিয়েটস মার্কেটিং,


সিপিএ মার্কেটিং,


ইউটিউব এডসেন্স,


বিটকয়েন ইত্যাদি।



আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো




আপনি অ‍্যামাজনের সঙ্গে,যেকোন কোম্পানির সঙ্গে  এফিলিয়েটস করবেন।এফিলিয়েটস হলো-আপনি যেকোন একটা কোম্পানির প্রোডাক্টের প্রচার করে সেটা বিক্রি করে দিলে,কোম্পানি সে প্রোডাক্ট বিক্রির জন‍্য আপনাকে  একটা কমিশন দিবে।তারা তাদের লাভ থেকে  এই কমিশনটা আপনাকে দিবে।এটা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।এর জন‍্য আপনাকে কোন চাকরি করতে হবেনা।আপনি সরাসরি  বিভিন্ন  কোম্পানির সঙ্গে  কাজটি করতে পারেন।যত মানুষ  কোম্পানির প্রোডাক্টের জন‍্য এফিলিয়েটস করবে,তত বেশি কোম্পানির লাভ। তার জন‍্য কোম্পানিতো আপনাকে কোন চাকরি দিবেনা। আপনাকে যা দিবে আপনাকে যা দিবে তাতো তার প্রোডাক্ট বিক্রি



 করে দেওয়ার লাভ থেকে দেবে।তবে এই স্বাধীন কাজগুলো করার জন‍্য আপনাকে  অবশ্যই 

 

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,


SEO,

Facebook marketing,

Youtube marketing, 



এই কাজগুলো  শিখতে হবে।কারন আপনি  এফিলিয়েটস করবেন,কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রির জন‍্য প্রচার করবেন। এর জন‍্য অবশ্যই  আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে।সিপিএ মার্কেটিংয়ের জন‍্য আপনাকে  ফেসবুক মার্কেটিং জানতে হবে।  আপনি  ইউটিউব এডসেন্স করবেন, ইউটিউবে ভিডিও তৈরী  করবেন, ইউটিউব আপনাকে  পেমেন্ট করবে।কিন্তু ভিডিওটাকে প্রচার করার জন‍্য আপনাকে  SEO করতে হবে।কারন আপনাকে 



ফেসবুক মার্কেটিং,


ইউটিউব মার্কেটিং


 এগুলো  করতে হবে।বিটকয়েনের কাজ করবেন। বিভিন্ন এজেন্সিতে বিটকয়েনের কাজ করবেন।তাহলে ঐ কোম্পানির প্রচার করতে হবে আপনাকে  অনলাইনে। আসলে স্বাধীন কাজটা নির্ভর করে স্থায়ী চাকরির জন‍্য যে বিষয়গুলো শিখতে হয় তার উপর।স্থায়ী চাকরির জন‍্য যে বিষয়গুলো  শিখতে হবে,সেগুলো শিখলে আপনি স্থায়ী চাকরিও করতে পারবেন আবার স্বাধীনভাবেও কাজ করতে পারবেন।



কেউ হয়তো বলবে আমি  কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স মাস্টার্স করেছি,পি এইচ ডি করেছি।তাহলে আমার এগুলো শিখার দরকার কী? আমিতো সরাসরি এগুলো  শুরু  করতে পারি।না,বিষয়টা মোটেই তা না।কারন এখানে যে কাজগুলো করা হয় তা কোন একাডেমিক কোর্সেই শিখানো হয়না।



ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,


কোন অনার্স, 

মাস্টার্স, 


কম্পিউটার সায়েন্সের পি এইচ ডি কোন জায়গাই  শিখানো হয়না।এগুলো নতুন,সবার জন‍্যই নতুন।এসব শিখে তাই কাজ শুরু  করতে হবে যদি ফ্রিল‍্যাসিং করতে হয়।কম্পিউটার সায়েন্সে কেউ যদি বড় ডিগ্রি নিয়ে  এই কাজে ঢুকেও,সে কিন্তু  বাড়তি সুবিধা করতে  পারবেনা ফ্রিল‍্যাসিংয়ে।কারন কম্পিউটার সায়েন্সের সঙ্গে  যতোটা না সম্পৃক্ত  ফ্রিল‍্যাসিং,তার চেয়ে বেশি সম্পৃক্ত বিবিএ,এমবিএ এর সঙ্গে।যারা বিজনেস ভালো  বুঝে,যারা বিবিএ,এমবিএ এর মার্কেটিংয়ের বিষয়গুলো  ভালো  বুঝে,তারা এই কাজগুলো করে অনেকবেশি আনন্দ পাবে।কারন এই কাজগুলো হলো কমার্স স্টাডি আর কম্পিউটার স্টাডির মিক্সড।কম্পিউটারের মাধ্যমে  আমরা কাজগুলো করছি।কম্পিউটার হচ্ছে শুধুমাত্র  একটা মাধ‍্যম।কম্পিউটারের অনেক খুটিনাটি  কাজ গভীরভাবে জানতে হবেনা এই ফ্রিল‍্যাসিং কাজগুলো করার জন‍্য।কম্পিউটার শুধু ব‍্যবহার করতে জানলেই হবে আর ফ্রিল‍্যাসিং কাজগুলো শিখতে হবে।কেউ যদি জিরো থাকে,কেউ যদি মনে করে যে সে কিছু ই জানেনা,তাহলে শুধুমাত্র  তিনমাস পরিপূর্ণ সময় দিয়ে  উনি কিন্তু কাজগুলো শিখে নিতে পারবে।

আচ্ছা, আমরা বুঝলাম কি কাজ শিখবো,কি কাজ শিখলে ভালো হয়।



Seo এর কাজ কি



 এই যে SEO কাজগুলো  হচ্ছে সবচেয়ে সহজ এবং খুব কম সময়ে শিখা যায় আর বেশি সেলারি পাওয়া যায়। এই কাজগুলো সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়  এবং  প্রায় সব কোম্পানিকে  এই কাজগুলো করাতে হয়। এখন  আপনি যে কাজই শিখেন না কেন,আপনাকে সেটা ১০০ভাগ শিখতে হবে।এখন ১০০ভাগ কথার মানে কী?

ধরুন,একজন একাউন্টেন্ট  শুধুমাত্র ক‍্যালকুলেটর ব‍্যবহার করতে জানে।এটা হচ্ছে ৫ভাগ কাজ।সে বলতে পারে,হে আমি  একজন একাউন্টেন্ট। আবার আরেকজন একাউন্টেন্ট  একাউন্টিন্টস সফটওয়্যার পারে,একাউন্টিংয়ের উপর তার বড় বড় ডিগ্রি আছে।সেও বলতে পারে কী? হ‍্যা,আমিও একজন  একাউন্টেন্ট।দুইজনই একাউন্টেন্ট।কিন্তু দুইজনের কোয়ালিটি  আকাশ -পাতাল ব‍্যবধান।যে শুধুমাত্র ক‍্যালকুলেটর দিয়ে কাজ করতে পারে সে হচ্ছে  ৫ ভাগ আর যার একাউন্টেনের উপর বড় বড় ডিগ্রি আছে,বিভিন্ন স্কিল সে জানে,সে হচ্ছে ১০০ভাগ। যে একশভাগ জানে তার বেতন হবে দশলাখ টাকা। 



ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব,ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি,ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কি,


Seo করে কত টাকা আয় করা যায়



আর যে পাঁচভাগ জানে তার বেতন হবে  পাঁচলাখ টাকা। SEO এর কাজটাও ঠিক  তেমন।কেউ যদি ৫ভাগ শিখে বলে যে আমি  পারি তাহলে কিন্তু কোন লাভ হবেনা।৫ বা ১০ ভাগ শিখা দিয়ে কেউ যদি টেইলারিং করতে  আসে,তাহলে কিন্তু সে কখনোই শার্ট তৈরী করতে পারবেনা। আর শার্ট তৈরী  করলেও সেটা পরার উপযুক্ত হবেনা।একজন টেইলর যদি শার্ট তৈরী করতে চাই তাহলে তাকে একশভাগ শিখেই শার্ট তৈরী করা শুরু করতে হবে।তাহলে সে লাভের মুখ দেখবে।আর যদি পাঁচভাগ শিখে কাজ শুরু করে তবে সে কাপড় ও নষ্ট  করবে,কাস্টমারও কখনো সন্তুষ্ট হবেনা,টাকাও পাবেনা।সুতরাং একশভাগ কাজ শিখতে হবে।আপনি যেদিন থেকেই শিখুন না কেন,আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি  একশভাগ কাজ শিখছেন।ধরুন, আপনি শুধুমাত্র একটি কাজ শিখবেন ঠিক আছে।শুধুমাত্র  SEO বা ডিজিটাল মার্কেটিং বা ফেসবুক  মার্কেটিং বা ইউটিউব মার্কেটিং।এই কাজগুলো  আসলে সবগুলো মিলিয়ে  একধরণের  কাজ। এই সবগুলোকেই এককথায় SEO বলে।এখন আপনি  একটা কাজ শিখবেন একশভাগ আর বাকিগুলো শিখবেন দশভাগ বা পাঁচভাগ হলেও চলবে।মানে বেসিক কাজগুলো  আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।মনে করেন আপনি শুধুমাত্র ফেসবুকের কাজ করবেন,ফেসবুকে যখন আপনি  পোস্ট তৈরী করবেন তখন  আপনাকে গ্রাফিক্স পোস্ট তৈরী করতে হবে।তাহলে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন জানতে হবে।ভিভিও পোস্ট তৈরী করতে হবে। তাই ভিডিও রিডিং  জানতে হবে।অডিও পোস্ট তৈরী করতে হবে,সেজন‍্য অডিও রিডিং জানতে হবে।এনিমিশন তৈরী করতে হবে।আবার বিভিন্ন প্রোগ্রামিং এর কাজ করতে হবে।আবার আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরী করেন।তখনো কিন্তু আপনাকে  গ্রাফিক্স ডিজাইন,ভিডিও রিডিং, অডিও রিডিং, এনিমিশন সবকিছু আপনাকে জানতে হচ্ছে।তবে আপনাকে এসব এক্সপার্ট  লেভেলে জানতে হবেনা,বেসিক লেভেলে  জানলেই চলবে।যেই কাজটা শিখবেন আপনাকে  একশভাগ জানতে হবে।আর আনুসঙ্গিক কাজগুলো,কম্পিউটারের যতোগুলো আনুসঙ্গিক  কাজ মানে

 typing,

MS word,

Excel,

powerpoint,

video editing, 

audio editing,

graphix 


সবগুলো একটু একটু  করে বেসিকটা অবশ্যই জানতে হবে।সবগুলোর বেসিকগুলো যদি না জানেন

 তাহলে আউটসোর্সিং করা যাবে না।অন‍্যান‍্য চাকরির সঙ্গে  আউটসোর্সিং এর পার্থক্য হলো এখানেই।আপনার সবগুলো সম্পর্কে  আইডিয়া থাকতে হবে।

এবার বলবো যে কিভাবে শিখবেন।খুব সহজ। আপনি  ইন্টারনেটে সার্চ করবেন।সেখান থেকে দেখে দেখে নিজেই শিখতে পারবেন,কোন টাকা খরচ করতে হবে না।আপনি যদি গুগলে বা ইউটিউবে সার্চ করেন এই সম্পর্কিত অনেক কিছু  পাবেন আর নিজেই শিখে নিতে পারবেন। অথবা যেকোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে  শিখতে পারবেন।



ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে



এখন  ট্রেনিং সেন্টারে যদি সবগুলো কাজ আলাদা আলাদা শিখতে যান তাহলে খরচ হবে ৭০-৮০ হাজার টাকা। আর সময়  লাগবে প্রায় এক বছর। এখন  কথা হচ্ছে,  এক বছর ধরে শেখা অনেকটা কঠিন ব‍্যাপার। আবার ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে যেভাবে শেখানো হয়, অনেকটা দেশি কোম্পানিতে কাজ করার উপযুক্ত করে।আউটসোসিং কাজ করার মতো উপযুক্ত করে কাজগুলো শেখানো হয়না।এখন কথা হচ্ছে,দেশী আর বিদেশী কোম্পানিতে কাজ করার ধরণ আলাদা। এখন বিষয় হলো,তাহলে আপনি কিভাবে শিখবেন।

আপনি  ইন্টারনেটের সাহায্যে নিজে নিজেই শিখতে পারেন।আবার অনেক কোম্পানি  এসব কাজের পূর্ণাঙ্গ ভিডিও বিক্রি করে।কাজ পাওয়া,জমা দেওয়া  ও পেমেন্ট  পাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েকমাস সাহায্য করে। ফ্রিল‍্যাসিং কাজ শেখার পাশাপাশি  তাদেরও  নাম,ফোন নাম্বার পেয়ে যাবেন ইউটিউবের বিভিন্ন  ভিডিওতে।

Post a Comment

0 Comments