বেশি অহংকার ভালো নয়
অহংকার পতনের মূল।
একসময় এক গ্রামে এক কৃষক বাস করত।সে ছিল গরিব ও বৃদ্ধ। বৃদ্ধ হওয়ার সে কোনো কাজ করতে পারত না।তাই তাদের পরিবারে অভাব লেগেই থাকত।তার স্ত্রী ৫ বছর আগে স্টোক করে মারা যায়।
//////////////
হঠাৎ জেহেরু দেখতে পাই,,,,,
অন্যদিকে কৃষকের ছিল দুটো মেয়ে। কৃষক তার ছোট্ট জমি থেকে ধান বিক্রি করে তার দুই মেয়েকে নিয়ে থাকত।
তার বড় মেয়ের নাম ছিল জেহেরু। ছোটো মেয়ের নাম দিয়া।
বড় মেয়ে জেহেরু ছিল সৎ বিনয়ী ও কেমল হৃদয়ের।সে সারাদিন বাসার সব কাজ করত ও কাপড়ে সুন্দর ডিজাইন করে বাজারে বিক্রি করত।
আর দিয়া ছিল ঠিক তার বিপরীত।
সে ছিল খুব অহংকারী, নির্দয়,অলস প্রকৃতির।সে সবসময় মনে করতো সে চাঁদের থেকেও সুন্দর ।তাই তার চোখে সবাই ছিল কুৎসিত ।দিয়া জেহেরুকে সহ্য করতে পারতো না।সে তার বাবাকে ও সবসময় হেও করে কথা বলত।কারণ তার বাবা ছিল গরিব।সে প্রায় সময়ই তার বাবাকে মিথ্যা বলে টাকা নিয়ে নিত্যনতুন পোশাক ও সাজসজ্জার জিনিস কিনত।সে কখনো কোনো ক্ষুধার্ত কে খাবার দিত না।তার এইসব আচরণের জন্য তার বাবা তাকে খুব একটা পছন্দ করতো না।
আর দিয়াকে মাঝে মাঝে বলত ;মারে তোর এই মনোভাবের জন্যে তুই একদিন অনেক বড় বিপদে পড়বি।
তার এই কথা শুনে দিয়া রেগে গিয়ে বলে ;বাবা আমি দেখতে অনেক সুন্দরী।আমার অবশ্যওই কোনো রাজপুত্রের সাঠে বিয়ে হবে, তখন বলতে জেও না যে তুমি আমার বাবা,বলবে যে তুমি আমার খাস চাকর আর জেহেরু আমার ঝারুয়ালি।
দিয়া আরো বলে , /////
///
জেহেরুকে এমনিতেও জমিদার বাবুর বাড়ির নিশি ঝারুয়ালির মতনই লাগে,,,হা হা হা হা!
এই কথা শুনে জেহেরু আর তার বাবা খুবই কষ্ট পায়।
জেহেরু বলে,
জেহেরু:দেখ দিয়া আজ তুই আজ তুই যতটুকু সুখে আছিস তাই নেয় সন্তুষ্ট থাক।আর তাছাড়া তোর ত এমনিতে কোনো কাজ করা লাগে না।সব তো বাবার থেকেই নিস।এইটাকে কি সুখ বলে না?
দিয়া:তোর মত এত কম জিনিস নেয় আমি সুখ পাই না।আমি চাই আমার চারপাশে থাকবে শুধু সোনা আর সোনা।বাবা কি পারবে আমার জন্যে টা করে দিতে?সে আসলে কিছুই করতে পারেনি আমার জন্যে।
জেহেরু রেগে গিয়ে বললো:তুই এত লোভী কেনো বলতো?একটা কথা মনে রাখিস ,অতি লোভে তাতি নষ্ট।
2 মাস পর,,,,,
জেহেরুর ডিজাইন করা কাপড় দেশে দেশে ছোরিয়ে যায়।এক ধনী ব্যবসায়ী তাকে শহরে যাওয়ার কথা বলে ও তার কাপড় নেয় শহরে বিক্রি করার কথা বলে।
এই কথা শুনে জেহেরু খুব খুশি হয়ে যায় ।আর তার বাবাকে গিয়ে সব কথা বলে।
তারা দেরি না করে পরের দিনেই তাদের ছোট্ট বাড়ি থেকে রওনা দেই। পায়ে হেঁটে তারা শহরে যাওয়ার কথা ভাবে।তাই সাথে করে কিছু ফল ও খাওয়া জল নিয়ে নেয়।
ঘন জঙ্গল চারিদিকে শুধু ব্যাঙ,পাখি,পোকামাকড়ের ডাক সারা কিছুই সোনা যাচ্ছিল না।
/////////////////////////
দূরে কিছু একটা চকচক করছে।সে সেখানে গেয়ে দেখে এক বৃদ্ধা গাছের নিচে বসে আছে।সে ছিলো খুবই ক্ষুধার্ত ।
আশ্চর্যকর বিষয় ছিল তার গায়ে জড়ানো ছিলো দামী হীরা আর মনিমুক্তার গহনা আর সোনা!
সে জেহেরু কে বললো:যদি তুমি আমাকে তোমার ব্যাগ থেকে কিছু খাবার দিয়ে সাহায্য করো তবে আমি তোমাকে পুরস্কৃত করবো।
জেহেরু বুঝতে পারলো তার কাছে মাত্র কিছু খাবার আছে। কিন্ত তার অনকটুকু যেতে হবে।তারপরে জেহেরু তার ভাগের খাবার টুকু বৃদ্ধ কে দিয়ে দেয় কারণ সে ছিল খুবই ভালো মনের একজন মেয়ে।আর সে বিনিময়ে বৃদ্ধটির কাস থেকে কিছুই নেয় না।
দূরে থেকে দিয়া এইসব কিছু দেখছিল।আর সে লোভে পরে যায়।তার এতদিনের সপ্ন বুঝি পূরণ হলো।
যেই বৃদ্ধটি প্রচন্ড ক্ষুধার জন্যে খাবার ক্ষেতে যায় দিয়া তার থেকে খাবারগুলো কেরে নেই আর তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই।বৃদ্ধটি একটি পাথরের উপর গিয়ে পড়ে র অজ্ঞান হয়ে যায় । জেহেরু দিয়াকে অনেকবার আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু দিয়া তার কোনো কথাই কানে নেয় না।
//////////
/////
তারপর দিয়া বৃদ্ধার গায়ে থেকে যেই না হীরা আর মণিমুক্তা নেওয়ার চেষ্টা রে ওমনিই বৃদ্ধটি তার আসল রূপে ফিরে আসে।
আসলে সে ছিলো একজন পরি।আর তার এই বাজে মনমানসিকতার জন্যে পরিটি দিয়াকে অভিশাপ দেয়।আর সাথে সাথে দিয়ার মাথার সব চুল পড়ে যায়।আর তার সুন্দর গায়ের রং কুচকুচে কালো হয়ে যায়।দিয়া তার ভুলের জন্যে পরিটির কাছে ক্ষমা চায়। কিন্ত তাতে কোনো লাভই হয়না।
আর অন্যদিকে জেহেরুরু দয়ালু মনোভাবের জন্যে পরি তাকে পুরস্কৃত করে।তারপর থেকে জেহেরু আর তার বাবা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে।
0 Comments