/> অলিভ অয়েল কি কি কাজ করে?অলিভ অয়েল তৈরির পদ্ধতি

Header Ads Widget

অলিভ অয়েল কি কি কাজ করে?অলিভ অয়েল তৈরির পদ্ধতি

 

খুব মনোজগ দিয়ে পড়লেই আশা করি আপনার সমাধান পাবেন ইনশাল্লাহ







জলপাই দেশি নাম

 ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস

 

 

জলপাই আমাদের দেশীয় নাম।যাকে জায়তুন বা অলিভও বলা হয়।

জলপাই এর আরবি নাম কি

অলিভ ইংরেজিতে বলা হয় আর আরবিতে বলা হয়
জয়তুন।



এই জায়তুন নিয়ে একটা সূরাও আছে।যা আপনারা
সবাই জানেন।


অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস

এবার আমরা জানবো কিভাবে অলিভ থেকে
তেল সংগ্রহ করা হয়। অনেকেই মনে করে থাকে,আমাদের জলপাই আর বিদেশের অলিভ এক নয়।তাদের উদ্দেশ্যে বলা,অন‍্যান‍্য ফলমূল ও তরিতরকারির মত জলপাই ফলেরও
কিন্তু ভিন্নতা রয়েছে।যেমন -খেজুর বাংলাদেশে একরকম,
আবার সৌদিআরবে বিভিন্ন রকমের পাওয়া যায়।যেমন কলার মধ‍্যে বিভিন্ন প্রকার রয়েছে।ঠিক তেমনি জলপাইটা
আমাদের বাংলাদেশ ও ভারতে একই রকম দেখতে।


এশিয়ার
মধ‍্যে জলপাইটা দেখতে একইরকম।আর যেগুলো রয়েছে
মধ‍্যপ্রাচ‍্যে বা ইউরোপে,সেখানকার জলপাইটা দেখতে অন‍্যরকম।কিন্তু দেখতে ভিন্ন হলেও এগুলোতে বিদ‍্যমান পুষ্টি
উপাদান কিন্তু একই রকম।



☆☆জলপাই বা অলিভ অয়েল তৈরির পদ্ধতি

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস


প্রথমে অলিভগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।ছুরির সাহায্যে বিচি ছাড়িয়ে নিতে হবে। অল্প পানি দিয়ে বিচি ছাড়া জলপাইয়ের অংশগুলো ব্লেন্ডার করে নিতে হবে ভালোরকম ভাবে।তারপর
এটা একটা কড়াই বা প‍্যানে ঢেলে নিবেন।চুলায় অল্প আগুনে
জ্বাল দিতে থাকুন।যাতে পুড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ‍্য রাখতে হবে।



অনবরত নাড়তে থাকুন।বাদামী রঙ না হওয়া পযর্ন্ত নাড়তে থাকুন।এবার যখন দেখবেন মণ্ডটা সরিষার দানার মতো হয়ে গেছে এবং চারপাশে ছিটকে পড়ছে,তখন বুঝবেন
মণ্ডটা তৈরী হয়ে গেছে।এবার চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
একটা পাত্রে সুতার পাতলা কাপড় রেখে তার উপর ঝুড়ঝুড়ে
মণ্ডটা গরম অবস্থায় ঢেলে দিন।


কাপড়টা গোল একটা পুটলির মতো করে হাতে নিঙড়াতে থাকুন গরম অবস্থায় ।নিচের বাটিতে দেখবেন তেল পড়ছে।এভাবে ঘরেই তৈরী করুন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল।

অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল যুগ যুগ ধরে স্বাস্থ‍্য সচেতন মানুষের কাছে জনপ্রিয় বিশ্বজুড়ে।গবেষণায় বলছে,



তেলটির আনস‍্যাচুরেটেড ফ‍্যাট রক্তচাপ,স্ট্রোক এবং হার্টের
রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।



☆☆ত্বক ও চুলের যত্নে অলিভ অয়েলের ভূমিকা

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস



শীতকাল এলেই ত্বকের যত্নে বেশি প্রয়োজন হয়  তেলের।তেল বলতে আমরা বেশিরভাগজনই কিন্তু অলিভ অয়েলকে
বুঝি।অলিভ অয়েল কিন্তু সারাবছরই মাখা যায় শরীরে।আর এটা যেকোন বয়সের মানুষই ত্বকে ব‍্যবহার করতে পারে।


বাচ্চা
থেকে বুড়ো সবাই মাখতে পারে,যদি না কারো ত্বকে কোন সমস্যা থাকে।অলিভ অয়েল কয়েক প্রকার হয়।অলিভ অয়েল বলতেই আমরা বাজারে যে পেট্রোলিয়াম জেল,যেটা
লিকুইড আকারে তেল হিসেবে ব‍্যবহার হয় সেটার কথা বলছি না।অলিভ অয়েল বলতে পিওর অলিভ অয়েল,যেটাকে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা ভার্জিন অলিভ অয়েল বলে।


এই পিওর অলিভ অয়েল আমাদের ত্বকের জন‍্য যতোটা
উপকারী,চুলের যত্নেও ততটাই উপকারী।স্বাস্থ‍্যের জন‍্যও উপকারী।তবে এটাও ঠিক,অলিভ অয়েলে কখনো ডিপ ফ্রাই
করা যায় না।অলিভ অয়েল খেতে গেলে হয় স‍্যালাদের সঙ্গে
নয়তো খুব  সংক্ষিপ্ত কোন রান্নায় ব‍্যবহার করতে হয়।




১.  ত্বকে রোজই অলিভ অয়েল ব‍্যবহার করা যায় গোসলের আগে বা পরে।এটা ত্বককে অনেকবেশি নরম করবে এবং শীতের রুক্ষতাকে দূর করবে।


২.    অলিভ অয়েল  মেখে বাচ্চাদের নরমাল জলে গোসল করালে ঠান্ডা লেগে যায়,কারন এই তেলটা ঠাণ্ডা।কিন্তু অলিভ অয়েল মেখে হালকা গরম জলে গোসল করালে ঠাণ্ডা  লাগেনা।



৩.     গোসলের আগে স্কার্বার হিসেবে অলিভ অয়েল ব‍্যবহার
করা যায়।এক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের সঙ্গে  সামান্য চিনি ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।নয়তো অলিভ ওয়েলের সঙ্গে লবণ ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।চিনির গুড়োটা যেন মিহি হয় আর লবণ অথবা চিনি যেকোন একটা
দিতে হবে।সপ্তাহে একবার করতে হবে।এটি পুরো শরীরকে
স্কার্বিং করতে সাহায্য করবে।এতে ত্বকের সব মৃতকোষ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বকটা অনেক নরম দেখাবে।তবে এটা করার পর অবশ্যই হালকা গরম জলে গোসল করতে হবে,তবেই এটা অধিক কার্যকর হবে।বয়সের ছাপ বা বলিরেখা দূর করবে।


৪.    ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল  ব‍্যবহার করতে চাইলে রাতে শোবার আগে ব‍্যবহার করারই ভালো।ঠোঁটে অলিভ অয়েল দিলে ঠোঁটফাটা দূর হয়।পা ফাটাও অলিভ অয়েল ব‍্যবহারে দূর হয়।



৫.    অনেকের নখ খুব ভঙ্গুর হয় এবং নখের জেল্লাটাও থাকে না।প্রতিদিন রাতে নখের উপর অলিভ অয়েল ম‍্যাসাজ করলে
এইসব সমস্যা আর থাকেনা।শুধু তাই নয়।শীতকালে প্রায়ই দেখা যায় নখের চারপাশের  কিছুটা চামড়া ওঠার মতো হয়ে
যায়।কারো কারো চামড়া ওঠে যায়।কিরকম যেন একটা হয়ে
যায়।অলিভ অয়েল ম‍্যাসাজ করলে এসব ঝামেলা  আর থাকে না।


৬.    অলিভ অয়েলটা হালকা গরম করে নিয়ে মাথায় ম‍্যাসাজ
করে নিতে হবে। অলিভ অয়েল হচ্ছে ভিটামিন ই যুক্ত ও এন্টি-অক্সিডেন্ট  গুণযুক্ত।যা আমাদের তারুণ‍্যকে ধরে রাখে।যা ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভালো।চুলের খুশকি দূর হবে।


এভাবে চুলে ব‍্যবহারের ফলে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।



☆☆অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা



১.    হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে অলিভ অয়েল খেতেই হবে।রক্তচাপ,স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এই তেল।


২.    ক‍্যান্সার থেকে মুক্তি দিতে পারে অলিভ অয়েল।


৩.    ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অলিভ অয়েল।


৪.     ইনসুলিন হলো এমন একটি হরমোন,যা রক্তে শর্করার
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিনের মাত্রা বাড়লে শরীরে চর্বি বা ফ‍্যাট জমা হওয়া শুরু হয়।ফ‍্যাট দূর করতে অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী।


৫.   ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল।পলি ও মনো স‍্যাচুরেটেড ফ‍্যাট ডায়াবেটিস আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।এই তেল রক্তে গ্লুকোজ কমায়,
কার্বোহাইড্রেট শোষণ হ্রাস করে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে বৃদ্ধি করে।তাই অলিভ অয়েলের রান্না খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।



৬.    অলিভ অয়েল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।


৭.    আমরা সবাই চায়,বার্ধক‍্য যাতে তাড়াতাড়ি না আসে।যত
দেরিতে আসে ততোই ভালো।অনেকের শরীর বা স্বাস্থ‍্যের জন‍্য তাড়াতাড়ি অকাল বার্ধক‍্য এসে যায়।এটাকে রোধ করতে চাইলে রান্নায় অলিভ অয়েলের ব‍্যবহার করতেই হবে।



৮.    দেহের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল।সঙ্গে মানসিক রোগ এবং ডিপ্রেশনের মোকাবেলা ও
করে থাকে এই তেলটি।



☆☆রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস


১.     যাদের চোখের নিচ কালো হয়ে থাকে,তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অলিভ অয়েল নিয়ে চোখের চারপাশ হালকাভাবে ম‍্যাসাজ করুন।ধীরে ধীরে আপনার চোখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।


২.     যাদের ড্রাই স্কিন।ত্বকের মরা চামড়া ওঠে।তাহলে রাতে
এই তেল লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।ড্রাই স্কিন ঠিক হয়ে যাবে।



৩.     ঠোঁটের কালচেভাব মুখের সৌন্দর্য্যকে নষ্ট করে।অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ব‍্যবহার করুন।ঠোঁটের কালচেভাব দূর হয়ে যাবে।



৪.      ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে অলিভ অয়েলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক‍্যাপসুল মিশিয়ে সাতদিন ম‍্যাসাজ করলে ত্বক ও নখের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে।


৫.     চুলের খুশকি দূর করে এই তেল।


৬.     অলিভ অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট।
যা ত্বকে ব‍্যবহারের ফলে ত্বকের বয়স্কভাব বা এন্টি-অক্সিডেন্টের সমস্যা ও দূর করে।


৭.      মুখের মেকআপ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অবশ্যই তুলে ফেলতে হয়।নয়তো ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।অলিভ অয়েল ব‍্যবহার করে খুব ভালোভাবে মেকআপ তোলা
যায়। দেশি নাম


ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস



জলপাই আমাদের দেশীয় নাম।যাকে জায়তুন বা অলিভও বলা হয়।


জলপাই এর আরবি নাম কি


অলিভ ইংরেজিতে বলা হয় আর আরবিতে বলা হয়

জয়তুন।



এই জায়তুন নিয়ে একটা সূরাও আছে।যা আপনারা

সবাই জানেন।


অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা


ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস



এবার আমরা জানবো কিভাবে অলিভ থেকে

তেল সংগ্রহ করা হয়। অনেকেই মনে করে থাকে,আমাদের জলপাই আর বিদেশের অলিভ এক নয়।তাদের উদ্দেশ্যে বলা,অন‍্যান‍্য ফলমূল ও তরিতরকারির মত জলপাই ফলেরও

কিন্তু ভিন্নতা রয়েছে।যেমন -খেজুর বাংলাদেশে একরকম,

আবার সৌদিআরবে বিভিন্ন রকমের পাওয়া যায়।যেমন কলার মধ‍্যে বিভিন্ন প্রকার রয়েছে।ঠিক তেমনি জলপাইটা

আমাদের বাংলাদেশ ও ভারতে একই রকম দেখতে।


এশিয়ার

মধ‍্যে জলপাইটা দেখতে একইরকম।আর যেগুলো রয়েছে

মধ‍্যপ্রাচ‍্যে বা ইউরোপে,সেখানকার জলপাইটা দেখতে অন‍্যরকম।কিন্তু দেখতে ভিন্ন হলেও এগুলোতে বিদ‍্যমান পুষ্টি

উপাদান কিন্তু একই রকম।



☆☆জলপাই বা অলিভ অয়েল তৈরির পদ্ধতি

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস


প্রথমে অলিভগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।ছুরির সাহায্যে বিচি ছাড়িয়ে নিতে হবে। অল্প পানি দিয়ে বিচি ছাড়া জলপাইয়ের অংশগুলো ব্লেন্ডার করে নিতে হবে ভালোরকম ভাবে।তারপর

এটা একটা কড়াই বা প‍্যানে ঢেলে নিবেন।চুলায় অল্প আগুনে

জ্বাল দিতে থাকুন।যাতে পুড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ‍্য রাখতে হবে।



অনবরত নাড়তে থাকুন।বাদামী রঙ না হওয়া পযর্ন্ত নাড়তে থাকুন।এবার যখন দেখবেন মণ্ডটা সরিষার দানার মতো হয়ে গেছে এবং চারপাশে ছিটকে পড়ছে,তখন বুঝবেন

মণ্ডটা তৈরী হয়ে গেছে।এবার চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

একটা পাত্রে সুতার পাতলা কাপড় রেখে তার উপর ঝুড়ঝুড়ে

মণ্ডটা গরম অবস্থায় ঢেলে দিন।


কাপড়টা গোল একটা পুটলির মতো করে হাতে নিঙড়াতে থাকুন গরম অবস্থায় ।নিচের বাটিতে দেখবেন তেল পড়ছে।এভাবে ঘরেই তৈরী করুন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল।


অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল যুগ যুগ ধরে স্বাস্থ‍্য সচেতন মানুষের কাছে জনপ্রিয় বিশ্বজুড়ে।গবেষণায় বলছে,



তেলটির আনস‍্যাচুরেটেড ফ‍্যাট রক্তচাপ,স্ট্রোক এবং হার্টের

রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।



☆☆ত্বক ও চুলের যত্নে অলিভ অয়েলের ভূমিকা


ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস


শীতকাল এলেই ত্বকের যত্নে বেশি প্রয়োজন হয়  তেলের।তেল বলতে আমরা বেশিরভাগজনই কিন্তু অলিভ অয়েলকে

বুঝি।অলিভ অয়েল কিন্তু সারাবছরই মাখা যায় শরীরে।আর এটা যেকোন বয়সের মানুষই ত্বকে ব‍্যবহার করতে পারে।


বাচ্চা

থেকে বুড়ো সবাই মাখতে পারে,যদি না কারো ত্বকে কোন সমস্যা থাকে।অলিভ অয়েল কয়েক প্রকার হয়।অলিভ অয়েল বলতেই আমরা বাজারে যে পেট্রোলিয়াম জেল,যেটা

লিকুইড আকারে তেল হিসেবে ব‍্যবহার হয় সেটার কথা বলছি না।অলিভ অয়েল বলতে পিওর অলিভ অয়েল,যেটাকে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা ভার্জিন অলিভ অয়েল বলে।


এই পিওর অলিভ অয়েল আমাদের ত্বকের জন‍্য যতোটা

উপকারী,চুলের যত্নেও ততটাই উপকারী।স্বাস্থ‍্যের জন‍্যও উপকারী।তবে এটাও ঠিক,অলিভ অয়েলে কখনো ডিপ ফ্রাই

করা যায় না।অলিভ অয়েল খেতে গেলে হয় স‍্যালাদের সঙ্গে

নয়তো খুব  সংক্ষিপ্ত কোন রান্নায় ব‍্যবহার করতে হয়।

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস



১.  ত্বকে রোজই অলিভ অয়েল ব‍্যবহার করা যায় গোসলের আগে বা পরে।এটা ত্বককে অনেকবেশি নরম করবে এবং শীতের রুক্ষতাকে দূর করবে।


২.    অলিভ অয়েল  মেখে বাচ্চাদের নরমাল জলে গোসল করালে ঠান্ডা লেগে যায়,কারন এই তেলটা ঠাণ্ডা।কিন্তু অলিভ অয়েল মেখে হালকা গরম জলে গোসল করালে ঠাণ্ডা  লাগেনা।



৩.     গোসলের আগে স্কার্বার হিসেবে অলিভ অয়েল ব‍্যবহার

করা যায়।এক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের সঙ্গে  সামান্য চিনি ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।নয়তো অলিভ ওয়েলের সঙ্গে লবণ ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।চিনির গুড়োটা যেন মিহি হয় আর লবণ অথবা চিনি যেকোন একটা

দিতে হবে।সপ্তাহে একবার করতে হবে।এটি পুরো শরীরকে

স্কার্বিং করতে সাহায্য করবে।এতে ত্বকের সব মৃতকোষ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বকটা অনেক নরম দেখাবে।তবে এটা করার পর অবশ্যই হালকা গরম জলে গোসল করতে হবে,তবেই এটা অধিক কার্যকর হবে।বয়সের ছাপ বা বলিরেখা দূর করবে।


৪.    ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল  ব‍্যবহার করতে চাইলে রাতে শোবার আগে ব‍্যবহার করারই ভালো।ঠোঁটে অলিভ অয়েল দিলে ঠোঁটফাটা দূর হয়।পা ফাটাও অলিভ অয়েল ব‍্যবহারে দূর হয়।



৫.    অনেকের নখ খুব ভঙ্গুর হয় এবং নখের জেল্লাটাও থাকে না।প্রতিদিন রাতে নখের উপর অলিভ অয়েল ম‍্যাসাজ করলে

এইসব সমস্যা আর থাকেনা।শুধু তাই নয়।শীতকালে প্রায়ই দেখা যায় নখের চারপাশের  কিছুটা চামড়া ওঠার মতো হয়ে

যায়।কারো কারো চামড়া ওঠে যায়।কিরকম যেন একটা হয়ে

যায়।অলিভ অয়েল ম‍্যাসাজ করলে এসব ঝামেলা  আর থাকে না।


৬.    অলিভ অয়েলটা হালকা গরম করে নিয়ে মাথায় ম‍্যাসাজ

করে নিতে হবে। অলিভ অয়েল হচ্ছে ভিটামিন ই যুক্ত ও এন্টি-অক্সিডেন্ট  গুণযুক্ত।যা আমাদের তারুণ‍্যকে ধরে রাখে।যা ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভালো।চুলের খুশকি দূর হবে।


এভাবে চুলে ব‍্যবহারের ফলে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।



☆☆অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস



১.    হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে অলিভ অয়েল খেতেই হবে।রক্তচাপ,স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এই তেল।


২.    ক‍্যান্সার থেকে মুক্তি দিতে পারে অলিভ অয়েল।


৩.    ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অলিভ অয়েল।


৪.     ইনসুলিন হলো এমন একটি হরমোন,যা রক্তে শর্করার

পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিনের মাত্রা বাড়লে শরীরে চর্বি বা ফ‍্যাট জমা হওয়া শুরু হয়।ফ‍্যাট দূর করতে অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী।


৫.   ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল।পলি ও মনো স‍্যাচুরেটেড ফ‍্যাট ডায়াবেটিস আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।এই তেল রক্তে গ্লুকোজ কমায়,

কার্বোহাইড্রেট শোষণ হ্রাস করে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে বৃদ্ধি করে।তাই অলিভ অয়েলের রান্না খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।



৬.    অলিভ অয়েল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।


৭.    আমরা সবাই চায়,বার্ধক‍্য যাতে তাড়াতাড়ি না আসে।যত

দেরিতে আসে ততোই ভালো।অনেকের শরীর বা স্বাস্থ‍্যের জন‍্য তাড়াতাড়ি অকাল বার্ধক‍্য এসে যায়।এটাকে রোধ করতে চাইলে রান্নায় অলিভ অয়েলের ব‍্যবহার করতেই হবে।



৮.    দেহের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল।সঙ্গে মানসিক রোগ এবং ডিপ্রেশনের মোকাবেলা ও

করে থাকে এই তেলটি।

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল/চুলের জন্য অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা /রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস



☆☆রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৭টি টিপস




১.     যাদের চোখের নিচ কালো হয়ে থাকে,তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অলিভ অয়েল নিয়ে চোখের চারপাশ হালকাভাবে ম‍্যাসাজ করুন।ধীরে ধীরে আপনার চোখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।


২.     যাদের ড্রাই স্কিন।ত্বকের মরা চামড়া ওঠে।তাহলে রাতে

এই তেল লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।ড্রাই স্কিন ঠিক হয়ে যাবে।



৩.     ঠোঁটের কালচেভাব মুখের সৌন্দর্য্যকে নষ্ট করে।অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ব‍্যবহার করুন।ঠোঁটের কালচেভাব দূর হয়ে যাবে।



৪.      ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে অলিভ অয়েলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক‍্যাপসুল মিশিয়ে সাতদিন ম‍্যাসাজ করলে ত্বক ও নখের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে।


৫.     চুলের খুশকি দূর করে এই তেল।


৬.     অলিভ অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট।

যা ত্বকে ব‍্যবহারের ফলে ত্বকের বয়স্কভাব বা এন্টি-অক্সিডেন্টের সমস্যা ও দূর করে।


৭.      মুখের মেকআপ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অবশ্যই তুলে ফেলতে হয়।নয়তো ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।অলিভ অয়েল ব‍্যবহার করে খুব ভালোভাবে মেকআপ তোলা

যায়।

Post a Comment

0 Comments