রোজমেরি খাওয়ার স্বাস্থ্যগুণ এবং উপকারিতা
রোজমেরি হচ্ছে অসাধারণ সুগন্ধিযুক্ত একটি হার্বস।রান্নায় এর ব্যবহার রয়েছে খাবারকে সুগন্ধযুক্ত করার জন্য।মুদি দোকান ও বিভিন্ন
শপিংমলে রোজমেরির তেল,শুকনো পাতা এবং নির্যাস থেকে তৈরী করা গুঁড়ো পাওয়া যায়।কাঁচা ও শুকনো পাতা দিয়ে চা তৈরী করা যায়।এটি বেশ পুষ্টিকর।
রোজমেরির বাস ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে।এর পাতা গাঢ় সবুজ এবং ফুল বেগুনি,সাদা,নীল ও গোলাপি রঙের হয়।এর উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য গুণগুলো হলো-
১. রোজমেরির উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যগুণ হলো ক্যান্সার কোষের গঠন এবং বিস্তার হ্রাস করার
ক্ষমতা।
২. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও হজমের জন্য রোজমেরি খুব উপকারী।
৩. একজিমা রোগীরা এই রোজমেরির তেল ব্যবহারে
উপকার পাবেন।
৪. অ্যারমা থেরাপিতে বিভিন্নভাবে রোজমেরির তেলের
ব্যবহার রয়েছে।
৫. ঘরে রোজমেরি গাছ থাকলে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৬. রোজমেরি গাছের কান্ড,শিকড়,ফুল ও বীজ সবই ব্যবহারযোগ্য।
৭. রোজমেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগতে পূর্ণ,যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৮. রোজমেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ফ্রি
র্যাডিকেলসগুলো ধ্বংস করে।
৯. রূপচর্চা ও চুলের বিভিন্ন সমস্যায় রোজমেরি দারুণ কার্যকর।যাদের টাক পড়ে গেছে তারা রোজমেরি তেল ব্যবহার করে চুল পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
১০. দাঁতব্যথা,মাথাব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় রোজমেরির
ব্যবহার আছে।
১১. ত্বকের দ্রুত বার্ধক্য এড়াতে রোজমেরি আশ্চর্যজনকভাবে কার্যকর।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : রোজমেরি অল্পমাত্রায় সেবনে ও ব্যবহারে
কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না শরীরে।কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে রক্তক্ষরণ,বমি ও ত্বকে প্রদাহ হতে পারে।প্রাচীনকালে
গর্ভপাত করতে এর ব্যবহার হতো।তাই গর্ভাবস্থায় এর ব্যবহার না করাই নিরাপদ।
অয়েল কি?কিভাবে ব্যবহার করবেন2022
ল্যাভেন্ডার অয়েল কি এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন
ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বকের যত্ন নিতে,রূপচর্চায় এবং ডিপ্রেশন কাটাতে সাহায্য করে।এখন বাজারে যেসব প্রয়োজনীয় তেল পাওয়া যায় তার মধ্যে ল্যাভেন্ডার অয়েল অন্যতম।এর ব্যবহার হয়ে আসছে আড়াই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে।পুরনো দিনের চিকিৎসাশাস্ত্রে যেমন এই তেলের ব্যবহার পাওয়া গেছে,তেমনি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান এবং রূপচর্চায়ও পাওয়া গেছে।এখনকার সময়ে ল্যাভেন্ডার অয়েল কিভাবে ব্যবহার হয় সেটা আজ জানবো।
প্রথমেই বলি এই তেলের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে।সাময়িক
অবসাদে ভুগছে কিংবা
যারা অল্পতেই নার্ভাস হয়ে পড়ে তাদের জন্য এই তেল খুবই
উপকার দেয়।অনেকেই আছে যারা রাতে ঠিকঠাক ঘুমাতে পারেনা।অনেক সময় ঘুমের জন্য ঘুমের ঔষধ খেয়ে থাকতে হয়।নিয়মিত ঘুমের ঔষধ না খেয়ে যদি ল্যাভেন্ডার অয়েলকে বেছে নেওয়া যায়,তাহলে সেটা অনেক উপকারী।
হালকা করে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা যায়।আবার নিজের
শোয়ার বালিশে একফোঁটা এই তেল দিয়ে রাখতে পারেন।তাতে অবসাদ কাটার সঙ্গে সঙ্গে নিজে থেকেই ঘুম এসে যাবে।সুগন্ধি থেরাপিতে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি বলে থাকেন।
এরপর বলি,অনেক সময় পোকামাকড়ের উপদ্রব খুব বেড়ে যায়।পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ গায়ে মাখার
তেলের সঙ্গে এক দুইফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে গায়ে
মাখলে সহজে পোকামাকড় আসবে না বা কামড়াবে না।
ল্যাভেন্ডার অয়েল যেকোন ছত্রাক গঠিত রোগের জন্যও দারুণ উপকারী।শরীরে বিশেষত আমাদের ত্বকে যেসব ছত্রাকগঠিত ইনফেকশন হয়ে থাকে,তার মোকাবেলায়
এই তেল যথেষ্ট কার্যকরী।শুধু যে ছত্রাকের আক্রমণকে কমায় সেটা না,সাথে সাথে ফাঙ্গাল ইনফেকশন যাতে না হয় তার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের ত্বকে কিছুটা গড়ে তোলে।
ল্যাভেন্ডার অয়েল চুলপড়া প্রতিরোধ করে।অনেকে শরীর ঠিক রাখার জন্য জিমে যায়।শুরুতে অল্পবিস্তর গা,হাত,পা ব্যথা সবার হয়।সেগুলোর জন্য ঔষধ না খেয়ে ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।দেখবেন অনেক উপকার
পাবেন।
0 Comments