💥সূর্যরশ্মির উপকারিতা ও অতিবেগুনি রশ্মি কী?💥
অতাবেগুনী রশ্মি হচ্ছে সূর্যের আলোতে থাকা অত্যন্ত ক্ষতিকারক রশ্মি।এটা এক ধরণের তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ।
যা ক্যান্সার পযর্ন্ত সৃষ্টি করতে পারে।
অতিবেগুনি রশ্মির জন্য বেশকিছু ক্ষতি হতে পারে মানবদেহ ও পরিবেশের।
যেমন-
১| প্রাণীজগতের অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
২|খাদ্যশস্য নষ্ট হয়।
৩|বীজের গুণগতমান নষ্ট হয়।
৪|চোখে ছানি পড়ে অন্ধত্ব হতে পারে।
৫|রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।
৬| চর্ম ক্যান্সার হতে পারে।
এইরশ্মি সরাসরি ত্বকের উপর পড়লে ত্বকের নিচের কানেকটিভ টিস্যুর কোষগুলো ভেঙ্গে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়।ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়।যারা সূর্যের আলোতে বেশি কাজ করেন,তাদের ত্বক কুঁচকেযায়,বলিরেখা পড়ে।
অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবার উপায়ঃ
১|সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পযর্ন্ত প্রখর সূর্যের আলোয় কাজ না করা।
২|যাদের এই সময়ের মধ্যে বেরুতেই হবে তারা ছাতা,বড় হ্যাট,সানগ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করবেন।
৩|ঢিলেঢালা সাদা বা হালকা রঙের কাপড় অতিবেগুনি রশ্মিকে মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।দিনের বেলা সূর্যের আলোয় আটসাট ও গাঢ় বা কালো কাপড় না পরাই ভালো।
৪|বাইরে বের হবার সময় সানস্ক্রিন ক্রিম লাগানো উচিত।
সূর্যের আলোর রয়েছে বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা।সেসব জানলে হয়তো কেউ আর আজ থেকে সূর্যের আলোকে অবহেলা না করে গায়ে লাগানো শুরু করে দিবেন।সূর্য ওঠার পর থেকে সকাল এগারোটার আগ পযর্ন্ত সূর্যের যে রশ্মি পৃথিবীতে আসে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আসুন জেনে নিই সূর্যরশ্মির উপকারিতাসমূহঃ
১|শরীরের রোগ -প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সূর্যের আলোর বিকল্প নেই।বিশেষজ্ঞদের মতে,সকালের হালকা রোদ পনেরো মিনিট ধরে শরীরে লাগালে,দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২|যদিও অতিরিক্ত সূর্যের আলো ত্বকের ক্যান্সারের কারন হতে পারে।তবুও গবেষণায় দেখা গেছে,কিছু ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে সূর্যের আলো গুরুত্বপূর্ণ।যারা কম রোদ লাগান তাদের নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি।
যথা-
💢মূত্রথলির ক্যান্সার
💢মলাশয়ের ক্যান্সার
💢ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার
💢অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার
৩| কিশোর -কিশোরীদের একটা বড় অংশ ব্রণ সমস্যায় আক্রান্ত। এটা মোটামুটি অনেকেরই চিন্তার বিষয়।কারন ব্রণ ত্বকে দাগ সৃষ্টি করে এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যাথাও হয়।ব্রণের সমস্যা যাদের আছে,তারা নিয়মিত সূর্যের আলো ত্বকে লাগালে উপকার পাবেন।
৪|যদি কোন শিশু অকালজন্মা হয় তাহলে তার অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন।প্রথম কয়েক সপ্তাহ তাকে সূর্যের আলোতে বের করা ঠিক না।শিশু উষ্ণ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম নাও হতে পারে।
৫|সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে সূর্যের আলো গায়ে লাগানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।তা নাহলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।কারন এটি ত্বককে রুক্ষ করে দিতে পারে।এছাড়া র্যাস হওয়া এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে।
সূর্যের রশ্মি অর্থ,
৬|যেকোন বয়সের মানুষের জন্য সূর্যের আলো উপকারী।মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস এই সূর্যের আলো।ভিটামিন ডি শিশু বয়স থেকে কিশোর বয়স পযর্ন্ত যখন শরীরে হাড় গঠিত হয়,এই সময়ের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।তাছাড়া নবজাতকের গায়ে সূর্যের আলো লাগালে তা শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা পরিচালনা করতে সহায়তা করে।এই সময় মায়েরও সূর্যের আলো গায়ে লাগানো উচিত।
৭|গোসলের আগে সূর্যের আলো গ্রহণ করা খুব উপকারী শরীরের জন্য।
৮|সূর্যের আলো দীর্ঘ সময় ধরে গায়ে লাগালে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।যার ফলে শরীর ও মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ উচ্চ তাপমাত্রা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।তাই সময়কাল ও তাপমাত্রা যত্ন সহকারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৯|শিশু সূর্যের কোমল আলোতে তার সময় উপভোগ করে।এই সময়টিকে একজন মা তার শিশুর সঙ্গে সংযুক্ত হবার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই সময় শিশুকে হালকা তেল দিয়ে মালিশ করা যেতে পারে।স্নেহপূর্ণ মালিশ শিশুর মধ্যে সুরক্ষা ও উষ্ণতার অনুভূতি তৈরী করে এবং সুস্বাস্থের প্রচার করে।
অতিবেগুনি রশ্মি কোথা হতে আসে,
১০|মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সূর্যের আলো উপকারী।
যেমন-শীতকালে যখন বেলা ছোট হয় তখন আমাদের হতাশা অনুভব করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই ধরণের হতাশার চিকিৎসা হলো "আলোক থেরাপি "। আমাদের বাড়িতে প্রাকৃতিক আলো থেকেই আমরা এই চিকিৎসা নিতে পারি।যা আমাদের মস্তিষ্ককে সেরোটোনিন তৈরী করতে উৎসাহিত করবে এবং অতিরিক্ত মেলোটোনিন হ্রাস করবে।
অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব লেখ
১১|যাদের মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে,কোন কিছু ভালো লাগেনা।শরীরের মধ্যে একটা অস্বস্তিভাব থাকে।তাদের জন্য সূর্যের আলো হতে পারে টনিকের মতো কার্যকরী।
১২|সকালের রোদে রক্ত ও ছত্রাকের সমস্যা দূর হয়।
১৩|এটি ব্লাড প্রেসার কমাতে সহযোগিতা করে।
১৪|হজমক্ষমতা বাড়ায়।
তাই সকাল এগারোটার আগ পযর্ন্ত আমাদের সূর্যরশ্মিকে কাজে লাগানো উচিত নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে।
0 Comments