👉খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
মধু ও খেজুরের উপকারিতা👈
খেজুরের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম,
মধু ও খেজুরের উপকারিতা,
দেশি খেজুরের উপকারিতা,
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,
খেজুরের অপকারিতা,
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম,
আজ আমরা জানবো খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা হয়তো ভাবছেন খেজুরের আবার অপকারিতা।হ্যা, খেজুরের ও অপকারিতা থাকতে পারে।সব কিছুরই কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা থাকে।এবার জানবো খেজুরের উপকারিতা নিয়ে।খেজুরের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা।খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি- কমপ্লেক্স থাকে।এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি থাকে। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে।সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেহের রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
খেজুরে আয়রন থাকে, যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং এনিমিয়া রোগের ক্ষেত্রে ভাল উপকার পাওয়া যায়।খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।যা বাচ্চাদের মাড়ি গঠনে ও হাড়ের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে।অর্থাৎ যারা আথ্রারাইটিস রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে খেজুর একটি যথেষ্ট উপকারী একটা ফল।খেজুরে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস থাকার কারনে ফলটি আমাদের শরীরের মিনারেলসের অভাব পূরণ করতে সহযোগিতা করে।খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে তা আমাদের কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করতে সহযোগিতা করে।এই ফলটিতে এন্টিএজিং প্রোপারটিজ থাকার কারণে তারণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে সহযোগিতা করে।এছাড়াও অনেক উপকারিতা আছে।যেমন- এই ফলটি আমাদের হার্ট বা হৃদপিণ্ডকে সতেজ রাখে এবং শক্তিশালী রাখে।খেজুর পুরুষদের ক্ষেত্রে বীর্যবর্ধক হিসেবে ও গণ্য হয়।
এই ফল বীর্যকে ঘন করে এবং দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে।খেজুরে থাকা পুষ্টিগুণ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও অনেকাংশে সাহায্য করে।তো এসব হচ্ছে খেজুরের বিশেষ কিছু উপকারিতা।এবার আমরা জানবো কোন কোন ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়া উচিত নয়।ডায়াবেটিকস রোগীদের খেজুর খাওয়া উচিত নয়।কারণ খেজুর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তাদের খেজুর খাওয়া উচিত নয়।কারন খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।তাই তাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।তবে যাদের এই ধরণের সমস্যা নেই তারা প্রতিদিন তাদের খাদ্য তালিকায় অল্প খেজুর রাখতে পারেন অনায়াসেই।খেজুরকে সুপারফুড হিসেবে ধরা নাহলেও এটা প্রায় সুপারফুডেরই কাছাকাছি।খেজুরে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং এতে ফ্যাটের পরিমাণ সামান্য ই থাকে।এনার্জি পাওয়ার খুব ভালো একটি উৎস এই খেজুর।
একজন মানুষ শুধু খেজুর আর পানি খেয়েই মাসাধিক কাল কাটিয়ে দিতে সক্ষম।হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ঘরে যখন কোন খাবার থাকতোনা তখন শুধু খেজুর আর পানি খেয়েই দিন কাটিয়ে দিতেন।খেজুরের প্রোটিনে বেশি পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড থাকে।যা অন্য ফলমূলে তেমন থাকেনা।তাই বুঝাই যাচ্ছে খেজুর একটি স্বাস্থ্যকর খাবার।বর্তমান বিশ্বে খেজুরের উৎপাদন বহুগুণে বেড়ে গেছে এর চাহিদার জন্য।তাই আজই খাদ্য তালিকায় খেজুরকে স্থান দিন।😊😊
0 Comments